এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মেতে উঠবে পৃথিবী ধ্বংসে?
কেন পারছিনা পলিথিনটা ফেলে বাজারের ব্যাগটা সঙ্গে নিতে?
কেন পারছিনা ময়লাটুকু আলাদা রাখতে?
কেন পারছিনা গাছটি আঙিনায় রোপণ করতে?
এ করোনা মুক্ত হলে সবাই মিলে গাছ লাগাবো, কেন পারছিনা এটুকু দ্বায়ে আবদ্ধ হতে?
এ করোনা মুক্ত হলে মারবোনা আর বন্যপ্রাণী, কেন পারছিনা এ টুকুন শুধু শপথ নিতে?

এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মেতে উঠবে পৃথিবী ধ্বংসে?
এই করোনা মুক্ত হলে আর করোনা যেন না আসে, পারবো না কেন সেটুকুনই শুধু মাথায় নিতে!
প্রাণীর মাঝে সুপ্ত থাকা, সে করোনা যাবে কোথায় যদি না থাকে সে প্রাণীটি- ভাবো তুমি!
তোমার ভুলে সুপ্ত থাকা সে করোনা তোমায় নিবে বসত করে, হয়তোবা আরো কঠোর হয়ে!
গাছ কেটে আজ করছো সাবাড়, তাপে ক্ষয়ে গলছে বরফ।
এ করোনা মুক্ত হলে, বরফ ফেটে উঠা করোনার- পারবে কি আবার দকল নিতে?
এ করোনা যখন আবার নতুনভাবে আসবে ফিরে তোমাদেরই বাড়িয়ে দেয়া আল্ট্রাভায়োলেট ক্ষমতার জোরে, পারবে কি আর সামলাতে সে দৈত্যদানব অদৃশ্যকে?

এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মেতে উঠবে পৃথিবী ধ্বংসে?
এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মারবে তাকে, শিং আর দাঁত রাখবে খাটে?
এ করোনা মুক্ত হলে না হয় তুমি ভাবতে বসো, ক্ষুদ্র এক অনুজীবে সাহস তোমার দুঃখে ভরে!
তোমাদের এই সম্রাজ্যে আর করছেনা কেউ বোমাখেলা, তোমরা আমরা সবাই মিলে আবদ্ধ আজ চারদেয়ালে।
এ করোনা মুক্ত হলে, চারদেয়ালের বাইরে তুমি তাকেও একটু সুযোগ দিও।
এ পৃথিবী শুধুই তোমার, এটুকুই তুমি একেবারে ভুলে যেও।

এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মেতে উঠবে পৃথিবী ধ্বংসে?
ঢালছো তুমি বুলেট টাকা রুখতে তোমার বুনিয়াদির বিপক্ষ মত।
ভাবছো কিনা নতুন করে, এ করোনা, সে করোনা, ঐ করোনা রুখতে হলে দরকার আজ জ্ঞানের হাত।
প্রভাবে তোমার নিচ্ছো কেড়ে চার আট উনত্রিশ ডিগ্রি সব, এ করোনা মুক্ত হলে গবেষণায় মন দিবেতো?
নাকি আবার ভয়টা পেয়ে ঘরের কোনেই লোকুবে সব?

এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মেতে উঠবে পৃথিবী ধ্বংসে? নাকি তুমি গড়বে সবি নতুন করে?
এ করোনা মুক্ত হলে তুমি আমি সবাই মিলে নিবো বাতাস বুকটা ভরে।
থাকবেনা সে অসহায় করা ক্ষুদ্র জীব আর গ্রেনেড হাতের বুনিয়াদির চাল চক্র।
মানছো কিনা, নাকি আবার সে যজ্ঞের পুত্র হবে, বলো তুমি! বলতে তোমার এবার হবেই!

কবিতা: এ করোনা মুক্ত হলে আবার কি তুমি মেতে উঠবে পৃথিবী ধ্বংসে?
লেখক: আবদুল্লাহ আল আশেক।